টাকার বিনিময়ে অন্যের হয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়ে লালমনিরহাটে ১০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরে। মঙ্গলবার বিকেলে লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে এ করাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার মমতাজ বেগম। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রংপুর গংগাচওড়া উপজেলার নিবারন সর্দারের ছেলে কারমাইকেল কলেজের ছাত্র লিটন সরকার (২৪), নীলফামারী সদরের ইসমাইল হোসেনের ছেলে উত্তরবাংলা ডিগ্রি কলেজের ছাত্র সৌরভ আহমেদ (২৭), নীলফামারীর ডিমলার আলাল উদ্দিনের ছেলে বেরোবির ছাত্র আব্দুল আজিজ (২১), লালমনিরহাটের কালীগঞ্জের মৃত বছর উদ্দিনের ছেলে বগুড়া আজিজুল হক কলেজের ছাত্র নয়ন হোসেন (৩২), দিনাজপুর খানসামার রশিদ উদ্দিনের ছেলে কারমাইকেল কলেজের ছাত্র মজিবুল ইসলাম (২৪), রংপুর মিঠাপুকুরের আমিন উদ্দিনের মেয়ে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী উম্মে হাবিবা বেগম (২৪), রংপুর শহরের লুৎফর রহমানের মেয়ে কারমাইকেল কলেজের ছাত্রী লিমা খাতুন (২২), গাইবান্ধা সুন্দরগঞ্জের শান্তিবালা বর্মনের ছেলে বেরোবির ছাত্র সুরজিৎ চন্দ্র বর্মন (২৬), নীলফামারীর ডিমলার একরামুল হকের ছেলে বেরোবির ছাত্র শাহীন আলম (২২) ও একই এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে হাতীবান্ধা আলিমুদ্দিন ডিগ্রি কলেজের ছাত্র রমজান আলী (২৭)।
লালমনিরহাট মজিদা খাতুন সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ রবীন্দ্র নাথ রায় জানান, আনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ইংরেজি বিষয়ের পরীক্ষা চলছিল। এ সময় কলেজ কেন্দ্রে প্রক্সি দেয়ার অভিযোগে ১০ জন ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তাদের কলেজ ক্যাম্পাসে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তারা দোষ স্বীকার করে নিলে প্রক্সি দেয়ার অপরাধে তাদের প্রত্যেককে এক বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ আলম জানান, দণ্ডাদেশ প্রাপ্তদের মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমনিরহাট কারাগারে পাঠানো হয়েছে।